বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএফআইইউর মাসুদকে হাইকোর্টের সতর্কতা

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ১৬:০৬

আামিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রধান মাসুদ বিশ্বাস আদালতে হাজির হয়েছিলেন। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন অসাবধানতাবশত তার ড্রাফট কপি হাইকোর্টে চলে এসেছে।

সুইজারল্যান্ড বা সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার বিষয়ে আদালতে দেয়া তথ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে সতর্ক করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সতর্কতা দেয়।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আামিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রধান মাসুদ বিশ্বাস আদালতে হাজির হয়েছিলেন। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন অসাবধানতাবশত তার ড্রাফট কপি হাইকোর্টে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, এ কারণে মাসুদ বিশ্বাস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আদালত তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে যাতে তার কোনো ভুল না হয়, তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

আমিন উদ্দিন জানান, আদালত মাসুদ বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ভারতীয় একটি রায় আছে। যেখানে বিদেশ থেকে টাকা আনার বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আছে। সেই রায় ফলো করে, গবেষণা করে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে কীভাবে বিদেশ থেকে টাকা আনা যায় এবং কীভাবে টাকা পাঠানো রোধ করা যায় তা নিয়ে কার্যকর ভুমিকা রাখতে হবে।

টাকা ফেরত আনতে বিএফআইইউ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তার অগ্রগতি কী, তা নিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেঠে আদালত।

গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, সুইজারল্যান্ডে কালো টাকা রাখার কোনো নিরাপদ ক্ষেত্র নয়।

পরদিন ১১ আগস্ট বিষয়টি নজরে নিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন জানতে চাওয়া হয়নি তা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানাতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও জমা দিতে বলা হয়। এরপর আদালতে দুদক এবং বিএফআইইউর পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ হলফনামা আকারে তথ্য জমা দেয়। ওই হলফনামায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বিএফআইইউ প্রধানকে তলব করে আদালত।

বিএফআইইউর তথ্যে বলা হয়, সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)-এর মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে (ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) অনুরোধ করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।

অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ,অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ বিদেশি এফআইইউদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী এসব তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)। ২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউর সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ।

ইএসডব্লিউর মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে এ তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড। আর ওই একজনের তথ্য দুদককে দিয়েছে বিএফআইইউ।

এ বিভাগের আরো খবর