নেত্রকোণার মদনে স্কুলছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে এই নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতিও।
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রউফ এসব নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত নূরুল আমিন আজাদ ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক রউফ জানান, নূরুলের বিরুদ্ধে ক্লাসে অশালীন আচরণের অভিযোগ ইউএনওর কাছে জানান এক ছাত্রীর বাবা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে নূরুলকে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে বলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক জানান, সোমবার শিক্ষক নূরুল নবম শ্রেণির ক্লাস নেয়ার সময় বই না আনায় কয়েক শিক্ষার্থীর উপর ক্ষিপ্ত হন। কয়েক ছাত্রীর গায়ে হাত তুলেন ও অশালীন ব্যবহার করেন। বাড়িতে গিয়ে তারা ঘটনা জানালে এক অভিভাবক ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই অভিভাবক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই শিক্ষক আগেও বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্রীদের হয়রানি ও অশালীন আচরণ করেছেন। ক্লাসে বই না আনলে অথবা তার কাছে প্রাইভেট না পড়লেও তিনি কটুক্তি এবং ইভটিজিংমূলক কথাবার্তা বলেন। তার আচরণে অনেক ছাত্রী লজ্জায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।’
ইউএনও ও বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘আমি অভিযোগ পাওয়ার পরই বিদ্যালয়ে গিয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শিক্ষকের এমন আচরণের কথা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশও (শোকজ) দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা অফিসারকেও চিঠি দেয়া হচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক নূরুল আমিন বলেন, ‘ইংরেজি বই না আনায় আমি শাস্তি হিসেবে ছাত্রীদের একে অপরকে থাপ্পর দিতে বলেছিলাম। এখন ছাত্রীরা বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখা করছে।’