রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হুমকির অভিযোগে ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে আদালতে।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার দুপুরে ওই তরুণী মামলার আবেদন করেন। সেটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য বিলাইছড়ি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন।
আসামিরা হলেন অঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা এজেন্ট, রুজন দাশ, সুমন্ত চাকমা, স্নেহাশীষ বড়ূয়া ও সুজন দাশ। তারা উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ফারুয়া বাজারের বাসিন্দা।
জেলা লিগ্যাল এইডের প্যানেল ও বাদীপক্ষের আইনজীবী সালিমা ওয়াহিদা এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই ছাত্রীকে একবার সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরে আবারও ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়। মেয়েটি লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানালে তাকে মামলা করতে সহায়তা করা হয়।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাতে বন্ধুর বাসা থেকে ফেরার পথে ওই কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে এগুজ্যাছড়ি ফরেস্ট অফিসের কালভার্ট ব্রিজের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। সে সময় তার এক বন্ধু ঘটনাস্থলে গেলে তাকে বেঁধে রেখে মেয়েটিকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন অভিযুক্তদের একজন।
এজাহারে বলা হয়েছে, বাবার প্রাণনাশ ও ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্তরা মেয়েটি ও তার বন্ধুকে ছেড়ে দেয়। পরে তাকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে। গত ২৩ জুন আসামিরা আগের ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে যেতে বলে। গত ২৮ জুন ওই কিশোরী বিলাইছড়ি থানায় গেলে মামলা নেয়া হয়নি।
এই অভিযোগ নাকচ করে বিলাইছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘ঘটনার অনেক পরে স্থানীয় এক হেডম্যান অভিযোগটি দিতে এসেছেন। আমি ওনাকে বলেছি, ভিকটিম যেহেতু রাঙ্গামাটি শহরে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আদালতে মামলা করতে পারেন কিংবা বিলাইছড়ি থানাতেও মামলা করা যাবে। তবে ভিকটিম ও তার পরিবারকে অবশ্যই আসতে হবে।’