বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমিউটার ট্রেনে যাত্রী হয়রানি, অভিযানে দুদক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ আগস্ট, ২০২২ ১৯:২৯

সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো যাত্রী কমিউটার ট্রেনে আসন নিয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে তাকে একটি আসনের বিপরীতে বাধ্যতামূলক দুই থেকে চারটি টিকিট কিনতে হয়। দাঁড়িয়ে যেতে চাইলেও আসনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দিতে হয়।

রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কমিউটার ট্রেন কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। এমনকি একটি সিট পেতে তিন থেকে চারটি টিকিট কাটতে হয়। আবার দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে গেলেও দিতে হয় বাড়তি টাকা।

সরেজমিনে অভিযানকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পর্যবেক্ষণে এমন চিত্র ধরা পড়েছে।

দুদকের হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ আসে যে মহুয়া কমিউটার ট্রেনে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি সিটের বিপরীতে তিনটি টিকিট কাটতে হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান চালায়।

দুদকের দলটি সকাল ৯টা থেকে মহুয়া কমিউটার, তিতাস কমিউটার, রাজশাহী কমিউটার ও জামালপুর কমিউটার ট্রেনের বেসরকারি ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করে।

দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করেন এবং উপস্থিত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো যাত্রী এই চারটি কমিউটার ট্রেনেরে কোনোটিতে আসন নিয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে তাকে একটি আসনের বিপরীতে বাধ্যতামূলক দুই থেকে চারটি টিকিট কিনতে হয়। আর দাঁড়িয়ে যেতে চাইলে একটি সিটের সম্পূর্ণ ভাড়া দেয়ার পরও ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দিতে হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা বলেন, বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় চললেও তাদের ওপর রেলওয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে। ট্রেন আসার এক ঘণ্টা আগে তারা টিকিট বিক্রি শুরু করে এবং যাত্রীদের হয়রানি করে থাকে।

দুদকের দলটি তাৎক্ষণিকভাবে টিকিটের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়ে দলের সদস্যরা স্টেশন ম্যানেজার ও স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে কথা বলেন।

রেলওয়ের এই দুই কর্মকর্তাও তাদেরকে জানান, আগেও তারা এরকম অভিযোগ পেয়েছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক ডিআরএম শফিকুর রহমান এবং ডিসিও (ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার) শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পায়নি দুদক প্রতিনিধি দল।

দলটি স্টেশন ম্যানেজারের কাছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেন সার্ভিসের জন্য যে চুক্তি হয়েছে তার বিষয়ে জানতে চায়। তারা জানান, চুক্তি অনুযায়ী কমিউটার ট্রেনগুলো রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, ট্রেন সার্ভিস দেবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগী হিসেবে যাত্রীসেবা দেবে।

তবে দুদকের পর্যবেক্ষণ হল, রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কমিউটার কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।

দুদক দলটি জানিয়েছে, অভিযোগগুলো সম্পর্কে তারা কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এবং কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর