নিজের গর্ভে থাকা ৫ মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার মমতা মাতৃসদন হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে শিমু দাশ নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। তিনি আনোয়ারার পূর্ব বরখাইন এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার ভোরে চুরি হয়ে যাওয়া নবজাতক উদ্ধারের সময় স্বামী রিমন মল্লিকসহ শিমু দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় নবজাতক চুরির কথা স্বীকার করেন তারা।
এর আগে নবজাতক চুরির কাজে এই দম্পতিকে সহযোগিতা করায় হাসপাতালের সুপারভাইজার মো. মোর্শেদ, দুই নিরাপত্তারক্ষী মো. সেলিম ও আবুল কাশেমকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইপিজেড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিয়াদ উদ্দিন চৌধুরী।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, শুরুতে ২ নিরাপত্তারক্ষী ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আনোয়ারার পূর্ব বারখাইন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া শিশুসহ ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিয়াদ উদ্দিন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, সম্প্রতি শিমু দাশের গর্ভে থাকা ৫ মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে গেলে তারা বাচ্চার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মমতা মাতৃসদন-২ হাসপাতালে আসার পর মোর্শেদ, সেলিম ও কাশেমের সহায়তায় হাসপাতাল থেকে তারা নবজাতক চুরির পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, রোববার আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকার শহিদুল-তাসমিন আক্তার দম্পতির একদিন বয়সী নবজাতক চুরি করে নিয়ে যায় শিমু।’
এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে ইপিজেড থানায় মামলা করেন অপহৃত নবজাতকের বাবা শহিদুল। মামলায় ক্লিনিকের সুপারভাইজার মোর্শেদ আলম, নিরপত্তারক্ষী আবুল কাশেম, সেলিম ও অজ্ঞাত নারীকে আসামি করা হয়।
শহিদুলের শ্বশুর আব্দুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে শিশুর দাদি ও আমার মেয়ে ছিল। ওদের টিকা দেয়ার কথা বলে বাচ্চাকে সহ নিচে নিয়ে যায় এক নারী। আবার ১০০ টাকা লাগবে বলে দাদিকে ওপরে পাঠায়। এ সময় কৌশলে নিচতলা থেকে শিশু নিয়ে পালিয়ে যায় নার্স বেশে থাকা ওই নারী। এ সময় ইনচার্জ মোর্শেদকে বলার পরও সে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তার সামনে দিয়ে বাচ্চাটি নিয়ে গেছে।’
থানা সূত্র জানায়, নার্স বেশে শিমু দাশই ওই নবজাতককে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিলেন।