দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্ট বোঝে বলেই জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে বলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঙ্গলবার তার সরকারি বাসা থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
গত ৫ আগস্ট বিশ্ববাজারের সঙ্গে তেলের দাম সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিনে লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ ও পেট্রলে ৪৪ টাকা করে দাম বাড়ায় সরকার। এরপর সোমবার সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা করে কমিয়ে প্রজ্ঞাপন দেয়।
অবশ্য বাড়ানোর সময় অনেক বাড়িয়ে এখন লিটারে পাঁচ টাকা কমানোয় সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন? বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক, সময় হলে মূল্যবৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে। শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন বলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।’
বিফ্রিংয়ে বিএনপিকে নিয়েও কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি সরকারে থাকতে দেশের মানুষকে শান্তি-সমৃদ্ধি দিতে পারেনি। আর এখন দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে। বিএনপি আরেকটি এক-এগারোর দুঃস্বপ্ন দেখছে।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি। এখন আবার স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে পড়েছে।’
গত সাত দশকে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশেই রয়েছেন, কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলে জানান কাদের।
জনগণের সম্পদ ও স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথ পরিহারেরও আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা বিএনপি অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি। তাদের কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে। বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।’
অন্যদিকে বিএনপির সঠিক রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে সেটি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে বলেও উল্লেখ করেন কাদের।