খুলনা বিভাগে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি।
ফলে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে কোনো তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিতরণ হয়নি। এতে এই বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের ৪ জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। তবে পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল কিনতে পারছেন ভোক্তারা।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে প্রতীকী ধর্মঘট করে আসছিলেন পাম্প মালিকরা। এ ছাড়া ট্যাংকলরি ভাড়া না বাড়ানোর প্রতিবাদে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছিল খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি।
এরই মধ্যে সোমবার ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সোমবার রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতরে ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯, অকটেন ১৩০ এবং পেট্রল ১২৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হবে।
সংগঠনের নেতা শেখ মুরাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার রাতে তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কমিশনও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ধর্মঘট শুরু করেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নানা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু সরকার তা মেনে নিচ্ছেন না। আমরা একটি মীমাংসা চাই।’
ট্যাংকলরি ভাড়া না বাড়ানোর দাবিতে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া না বাড়ালে এ ব্যবসার সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। কারণ তেলের দাম বাড়ায় আমাদের বিনিয়োগ বেড়েছে, আয় কমেছে।’
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবারের ধর্মঘট এক দিনের জন্য নয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য। দাবি না মেনে নিলে ধর্মঘট চলবে।