পঞ্চগড়ে ট্রাকে বালি ও পাথর লোড-আনলোড খরচ নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে প্রতি ঘনফুট পাথর (সিএফটি) লোডিং খরচ ৩ টাকা ৯০ পয়সা এবং দশ চাকার ট্রাকে বালি লোডিং খরচ ২ হাজার ২০০ টাকা কার্যকর হচ্ছে।
এর আগে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই ট্রাকে বালি ও পাথর লোড-আনলোড খরচ বাড়ানোর প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রয়-বিক্রয় বন্ধের ঘোষণা দেন পাথর ও বালি ব্যবসায়ীরা। তিন দিন সব ধরনের কেনা-বেচা বন্ধ থাকার পর নতুন খরচ নির্ধারণ করা হলো।
পঞ্চগড় জেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী যৌথ ফেডারেশন, জেলা ট্রাক ট্রাক্টর ট্যাংকলরি কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংগঠনের এক যৌথ বৈঠকে সোমবার রাতে লোড-আনলোডের নতুন এ খরচ নির্ধারণ হয়।
জেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী যৌথ ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রউফ নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পঞ্চগড় জেলায় পাথর-বালি ট্রাকে লোড-আনলোড করতে সিএফটি প্রতি ২ দশমিক ৮০ টাকা করে শ্রমিকদের দিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি জেলা ট্রাক ট্রাক্টর, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন ও পঞ্চগড় জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক লোড-আনলোডের দাম বৃদ্ধির জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।
কিন্তু জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগেই শ্রমিক ইউনিয়ন গত ২৬ আগস্ট থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২ দশমিক ৮০ টাকার বিপরীতে পাঁচ টাকা করে নিতে শুরু করে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যৌথ ফেডারেশনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা শেষে পরদিন শনিবার থেকে বালি ও পাথর বেচা-কেনা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।
তিন দিন পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ট্রাকে লোড-আনলোডের নতুন খরচ নির্ধারণ করা হলো। ১ টাকা ১০ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা ৯০ পয়সা করা হয়েছে।
ফেডারেশনের এই নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাথর শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে মতানৈক্য ছিল, তা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিরসন হয়েছে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
জেলা মোটর শ্রমিক পরিবহনের (২৬৪) সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সার্বিক দিক বিচার করে আমরা শ্রমিকদের স্বার্থে লোডিং পাঁচ টাকা নির্ধারণ করেছিলাম। এখন তা কমিয়ে ৩ টাকা ৯০ পয়সা করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নিয়েছি।’