ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় জামায়াত নেতা আ ন ম শামসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিচারিক আদালতের বিচারক শাহরিয়ার ইকবাল সোমবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
আ ন ম শামসুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় হাটহাজারীতে এর বিরোধিতা করে সহিংসতা চালিয়েছিল হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা। সে সময় পুলিশের করা মামলার মধ্যে দুটি মামলা সিআইডির তদন্তাধীন। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
এর আগে রোববার একই সময়ে পটিয়ায় সহিংসতা মামলায়ও তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। পটিয়া থানা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পটিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের বিচারক তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশে আসার বিরোধিতা করে সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয়। সে সময় চট্টগ্রামের পটিয়া ও হাটহাজারীতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা ডাকবাংলো, ভূমি অফিস ও হাটহাজারী মডেল থানায় হামলা চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায়। এতে নিহত হন চারজন।
হাটহাজারীর ঘটনায় পুলিশ ও ভূমি অফিস ১০টি মামলা করে। এসব মামলায় মোট সাড়ে ৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া পটিয়ার ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করে।
এদিকে নিবন্ধন হারানোয় দলগত নির্বাচনের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে দেওয়ার পর ১২০ আসনে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করে দলটি। এই তালিকায় চট্টগ্রামের ১০, ১৫ ও ১৬ আসনও রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা আ ন ম শামসুল ইসলামের নাম।