সরকারি খাদ্যগুদামে এখন ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দরিদ্রদের চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব চালু করতে যাচ্ছি। এ ছাড়া আউশ ধান বাজারে আসতে শুরু করায় দামও কমতে শুরু করেছে চালের। সরকারি খাদ্যগুদামে এখন ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে।’
তিনি বলেন, কৃষক এখন আমন চাষে ব্যস্ত। আমন ধানের চাষাবাদ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। উৎপাদন কতটুকু হবে তা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। এ কারণে আমরা সতর্কতা হিসেবে ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানি শুরু করেছি। সেপ্টেম্বর থেকে এ চাল দেশে আসতে শুরু করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক সুফিয়ান। বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইউব হোসাইন মণ্ডল ও নাদিরা বেগম।
মন্ত্রী ১৮ জনের মাঝে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
এ ছাড়া খাদ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১২টি মসজিদ ও মন্দিরকে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং তিন ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ, এডিপির অর্থায়নে ৫০টি মসজিদে লাশবাহী খাটিয়া বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ১৬০টি সেলাই মেশিন, উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এর আগে মন্ত্রী নিয়ামতপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন।