লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সাঈফ নামে ৪ বছরের এক শিশু নিখোঁজের তিন দিন পর ঘরের ভেতর মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির সৎমা ও বাবাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে সৎনানা মোবারক হোসেনের বসতঘর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সৎমা কোহিনুর বেগম শিশুটিকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। পরে তিনি শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে প্রচার চালান।
নিহত সাঈফ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চর জিয়ানগর এলাকার হাবীবুল্লাহর ছেলে।
সাঈফের মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিযুক্ত কোহিনুরকে বিয়ে করেন হাবীবুল্লাহ। কোহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে স্বামীর বাড়ি হাজীগঞ্জ থেকে শিশুপুত্রকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাবার বাড়িতে আসেন কোহিনুর। পরে শনিবার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এ অবস্থায় সাইফকে খুঁজে বের করতে খবর দেয়া হয় চাঁদপুরের ডুবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিসকে। তারা আশপাশের পুকুর ও ডোবা-নালায় অনেক খুঁজেও পায়নি তাকে। পরে সাঈফের বাবা মিরন হোসেন শনিবার হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক দিন পর রোববার বিকেলে পুলিশ সাঈফের সৎমা কোহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনুর স্বীকার করেন, শিশু সাঈফকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তিনি বাবার বাড়ির রান্নাঘরের মাটির নিচে পুঁতে রেখেছেন। তার তথ্য অনুযায়ী সোমবার বিকেলে পুলিশ সাঈফের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশের ধারণা, শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় সাঈফকে হত্যা করে মাটিচাপা দেন কোহিনুরসহ অন্যরা।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ।