শরীয়তপুর পৌরসভা ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কাছে ২ কোটি টাকারও বেশি বিল পাওনা ওজোপাডিকোর। কর্তৃপক্ষ বলছে, বারবার চিঠি দিলেও বকেয়া শোধ করছে না সরকারি প্রতিষ্ঠান দুটি।
নিউজবাংলাকে এসব নিশ্চিত করেছেন জেলা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন।
শরীয়তপুর পৌরসভার বকেয়া জমেছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ও জেলা পুলিশের বকেয়া ৩৬ লাখ টাকা।
তিনি জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। বকেয়া বিল উত্তোলনেও নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। অতিরিক্ত বকেয়া থাকা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ৮ থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শরীয়তপুর পৌরসভার বকেয়া জমেছিল ২ কোটিরও বেশি টাকা।
তিনি আরও জানান, একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর কয়েক ধাপে ২০ লাখ টাকার মতো বকেয়া শোধ হয়েছে। এখনও বাকি আছে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার বেশি। জেলা পুলিশের পুলিশ লাইনস ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ৩৬ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। তাদেরও একধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে।
পেছনের বিল বকেয়া থাকলেও চলতি বিলগুলো প্রতিষ্ঠান দুটি নিয়মিত শোধ করে যাচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
পৌর মেয়র পারভেজ রহমান বলেন, ‘দায়িত্ব বুঝে নিয়ে দেখি পৌরসভার ২ কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া আছে। একসঙ্গে এত টাকা শোধ করা সম্ভব না। তাই কিস্তি করে কয়েক মাস অন্তর অন্তর কিছু কিছু করে বকেয়া শোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
‘পুরো বিল শোধ করতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে একাধিকবার সমন্বয় সভা করা হয়েছে।’
জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল হক বলেন, ‘গত সপ্তাহে সবেমাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিষয়টি জানা নেই। তবে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখব। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে তা শোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’