নোয়াখালীর সেনবাগে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে ডুমুরুয়ার ইটভাটা মাঠে বিকেলে সমাবেশ ডাকে উপজেলা বিএনপি। সেখানে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তারা জানান, একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে পিছু হটেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয় দলের ২০ জন আহত হন।
সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিকেলে ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ গাজিরহাট মোড়ে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে আমাদের মিছিল গাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করার সময় বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
‘বিএনপি নেতাকর্মীরা গাজিরহাট মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকান এবং ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ সময় আমাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। শিশুসহ দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ‘তেল-গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে গিয়ে ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপির পাঁচ-ছয় কর্মী আহত হয়েছেন।’
সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এ সময় ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।’