বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবীরুলের বই কিনছে না সরকার

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২২ ১৪:৩৩

জনপ্রশাসন সচিব কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরে লেখকের নামে না কিনে বিষয়ভিত্তিক প্রকল্পের বই কেনা হবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বই কেনা প্রকল্পের ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা বাতিল করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বই কেনার তালিকায় অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল মন্ত্রণালয়।

কে এম আলী আজম বলেন, ‘এই তালিকা বাতিল করে দিয়েছি। নতুন তালিকা করার জন্য আমি কমিটি করব। তালিকা করব নাকি হেডলাইনে করবো, সেটা আমি মিটিং করে নির্ধারণ করব। আপাতত তালিকা বাতিল করে দিয়েছি।

‘পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত কার্যক্রম না নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেব। এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো আমরা হেড দিয়ে দেব, ইতিহাস, সাহিত্য, কবিতা- এ রকম করে দেব। ওরা ওদের মতো করে রুচিশীল বইয়ের নাম ফিলআপ করবে।’

তিনি বলেন, ‘হাজার-হাজার বই। তালিকা করতে গেলে কারটা দেব, কারটা দেব না, কোন প্রকাশকের যাবে, কোন প্রকাশের যাবে না- এটা একটা সেনসেটিভ এরিয়া।

‘একটা কমিটি করে দেব যাতে তারা পর্যালোচনা করে সাজেস্ট করতে পারে, কোন প্রক্রিয়ায় আমরা তাদের বই কেনার জন্য সাজেস্ট করব।’

বিভাগ-জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে চার বছরের জন্য ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আওতায় প্রতি বছর মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বই কেনার জন্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। চলতি অর্থবছরের জন্য উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বই কেনার জন্য যে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছিল তাতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি কবিতার বইয়ের নাম ছিল। মন্ত্রণালয়ের যে উইং এই বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করেছে, তার প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলাম।

এর আগে রোববার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বই কেনার তালিকায় মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই কীভাবে ঢুকেছে তা তদন্ত করা হবে।

তিনি বলেন, ‘একজন কর্মকর্তা যিনি এই দায়িত্বের মধ্যে ছিলেন তার ২৯টি বই থাকবে কেন। এটি অশোভনীয়। আমি নিজে বলছি যে এটা ঠিক হয়নি। এটা নিয়ে আমরা বসব। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা যতটুকু জেনেছি তার বইগুলো কেনা হয়নি, তবে নামগুলো আছে। কেনা হয়েছে সেরা বইগুলো, যেগুলো জগদ্বিখ্যাত ও আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা এবং সুপাঠ্য উপন্যাস কেনা হয়েছে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি আজ (রোববার) আমার নির্বাচনি এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছি ওনার বই কেউ কিনেছেন কি না। কেউ তার বই কেনেননি। আমার সচিব বললেন যে, ঢাকায়ও কিন্তু ওনার বই কেনা হয়নি। যে বইগুলো পাঠক সৃষ্টি করবে, সেই বইগুলো কিন্তু কেনা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৪৭০টি বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও বাধ্য করা হয়নি যে এই বইগুলো কিনতে হবে। এটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে। যে কর্মকর্তা এটি করেছেন, তিনি ঠিক করেননি।’

বইয়ের তালিকায় অনেক সরকারি কর্মকর্তার বই থাকার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্রও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তার লেখা বইও আছে। এ রকম আরও অনেক কর্মকর্তা আছে, যাদের বইগুলো খুবই ভালো। যেমন: মোবাইল কোর্ট আইনের ওপর বই আছে, ভূমি আইনের ওপর বই আছে, আয়করের ওপর অনেক ভালো বই আছে। সেটা যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তার হয়, এখানে অসুবিধার কোনো কারণ নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর