থানার টয়লেট থেকে নারী আসামি পালানোর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর গৃহকর্মী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফুল কুমার রায়।
রোববার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন।
যেভাবে পালায় খাদিজা
২৩ আগস্ট খাদিজার বিরুদ্ধে চুরির অপরাধে গুলশান থানায় মামলা হয়। এই মামলায় ২৭ আগস্ট খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। তাকে সন্ধ্যায় থানা হাজতে রাখা হয়।
গুলশান থানার এক কর্মকর্তা জানান, আসামির কাছ থেকে চুরি যাওয়া চেন উদ্ধার করা হয়েছে। থানা হাজতে কনস্টেবল পারুল আক্তারের অধীনে রাখা হয় তাকে। আসামি অসুস্থ বোধ করায় থানার বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীবান্ধব ডেস্কের ফ্যানের নিচে রাখা হয়।
কনস্টেবল পারুল আক্তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান, আসামি বাথরুমে যেতে চাইলে থানার ভেতরের বাথরুম ফ্রি না থাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানা ভবনের বাইরে নারী পুলিশের ব্যবহারের টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছু সময় পার হলেও আসামি টয়লেট থেকে বের না হলে কনস্টেবল পারুল আক্তার টয়লেটের দরজায় আঘাত করেন। ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখেন টয়লেটে আসামি নেই।
পুলিশ জানায়, পরবর্তী সময়ে দেখা যায় টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে থানার সীমানা দেয়াল টপকে আসামি পালিয়ে গেছে। কাঁটাতারের বেড়ায় আসামির জামার কিছু অংশ ছিঁড়ে আটকে ছিল।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় থানা ভবনের টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে সীমানা দেয়াল টপকে আসামি পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’