জন্ম নিবন্ধন সনদে কারও জন্মস্থান চট্রগ্রাম, কারও লক্ষ্মীপুর, কারও আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া লেখা। অথচ তারা সবাই জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করেছেন শরীয়তপুর থেকে।
জেলার নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ও ফতেজংগপুর ইউনিয়নের এমন ৮০৮ জনের জন্ম নিবন্ধন সনদে জন্মস্থানের তথ্য ভুল এসেছে। এ কারণে নাগরিক সুবিধাসহ বিভিন্ন কাজে ভোগান্তি পড়ছেন তারা।
সার্ভার হ্যাক করে এমন ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা।
ওই দুই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুল সনদ পাওয়া ৮০৮ জনের মধ্যে কয়েকজনের তালিকা সংগ্রহ করে নিউজবাংলা। এরপর জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাইয়ের সরকারি ওয়েবসাইট ঘেঁটে পাওয়া গেছে অভিযোগের সত্যতা।
দেশের বিভিন্ন জেলার নাম দেখা গেছে তাদের জন্মস্থানের ঘরে। এর মধ্যে চট্রগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার নামই বেশি এসেছে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় তাদের নাম ও তথ্য প্রকাশ করছে না নিউজবাংলা।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় এবং ফরেজংগপুর ও বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য স্থানীয় ইউনয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন করছেন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রত্যাশীরা।
এরই মধ্যে গত ১৫ আগস্ট বিঝারী ইউনিয়ন এবং ১৯ আগস্ট ফতেজংগপুর ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধনে তথ্য বিভ্রাটের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এর মধ্যে বিঝারী ইউনিয়নে ৩৯২ জন এবং ফতেজংগপুর ইউনিয়নে ৪১৬ জনের জন্মস্থান অন্য জেলায় দেখানো হয়েছে। আরও কিছু তথ্যে গড়মিল চিহ্নিত করা হয়েছে।
ফতেজংগপুর ইউনিয়নের সচিব নাজমা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সার্ভারে সমস্য হওয়ার পর তালিকায় যে নামগুলো প্রবেশ করেছে তার বেশিরভাগই চট্রগ্রামের। তবে অন্যান্য জেলার নামও ব্যবহার করেছে হ্যাকাররা। নতুন করে সার্ভারের আইডি ও পাসওয়ার্ড পাওয়ার আগ পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন সেবা বন্ধ রয়েছে।’
বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের ইউপি থেকে নেয়া জন্ম নিবন্ধনে ৪১৬ জনের তথ্যের গরমিল পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং ওই দিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।