লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা নুরউদ্দিনকে মোটরসাইকেল না দেয়ায় প্রবাসী আফসার উদ্দিন আসিফ ও জসিম নামে দুই ব্যক্তিকে প্রকোশ্য কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত নুরউদ্দিন সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ৩০ জুলাই হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি ঘটলেও সম্প্রতি এর একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নৃশংস ওই ভিডিও ফুটেজ দেখে জেলাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ওই যুবলীগ নেতার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
তবে এ ঘটনায় মামলা হলেও গত ২০ দিনে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানা গেছে। গত ৩০ জুলাই দুপুরে সদর উপজেলার আবুরগোজা এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার প্রবাসী আফসার উদ্দিন আফিস ও জসিম উদ্দিন।
রোববার সকালে আসিফ ও জসিম জানান, সদর উপজেলার লাহারকান্দিতে আত্মীয় আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে লক্ষ্মীপুরের দিকে আসছিলেন তারা।
পথে আবুরগোজা এলাকায় পৌঁছালে যুবলীগ নেতা নুরউদ্দিনের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন তাদের পথ আটকায় এবং মোটরসাইকেলটি দিতে বলে। কিন্তু মোটরসাইকেল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন আসিফ। একপর্যায়ে নুরউদ্দিন রামদা দিয়ে প্রকাশ্যেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন আসিফকে।
এ সময় নুরউদ্দিনের ভয়ে কেউ উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি বলে জানান আসিফ ও জমিস। কুপিয়ে চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত ৬ জুলাই সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন আহত জসিমের বাবা শাহ আলম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা করেও তার মতামত পাওয়া যায়নি। তবে লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক তফসির উদ্দিন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নুরউদ্দিনের দায়িত্ব পালন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সদর থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। আশা করি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত নুরউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’