বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত চায় বাপা

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২২ ২০:৪৪

চিঠিতে বলা হয়েছে, পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে বিমানের অপারেশনাল নির্দেশনা (ম্যানুয়াল), বাপার সঙ্গে বিমানের চুক্তি চরমভাবে লঙ্ঘন হয়েছে। বাপা এসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।

গণমাধ্যমে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত দাবি করেছেন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ দাবি জানান।

বাপা নির্বাহী কমিটির পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে, পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে বিমানের অপারেশনাল নির্দেশনা (ম্যানুয়াল), বাপার সঙ্গে বিমানের চুক্তি চরমভাবে লঙ্ঘন হয়েছে। বাপা এসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া ওই ফ্লাইট অফিসাররা নিয়মিত ফ্লাইট অফিসার হিসেবে ফ্লাই করতে পারবেন না, যতক্ষণ না তারা ৩০০ ঘণ্টা ফ্লাই করছেন। এসব ফ্লাইট অফিসারের জন্য এখন বিমান বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

একই সঙ্গে বিমানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষণ বিভাগের (সিওটি) প্রধানের স্ত্রী পাইলট হিসেবে নিয়োগ পেতে যে আবেদন করেছেন তাকে স্বার্থের দ্বন্দ্ব বলেও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে বাপা দাবি করেছে, ফ্লাইট অফিসার পদে একজন এয়ারলাইনস ট্রান্সপোর্ট পাইলট তার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ভুয়া সনদ দেখিয়েছেন। তিনি তার বাধ্যতামূলক সিমুলেটর প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। পরবর্তী সময়ে তাকে বিমান নিজ খরচে প্রশিক্ষণে পাঠায়, যা অপচয়।

বিমানের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজের জন্য জ্যেষ্ঠ পাইলটদের পাশ কাটিয়ে এক জুনিয়র পাইলটকে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যাকে অনৈতিক হিসেবে দাবি করেছে বাপা।

পাইলট নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। ছবি: নিউজবাংলা

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গাফিলতির কারণে বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজের ক্রুদের জেডএফটিটি ও পিপিসি প্রশিক্ষণ বিদেশে গিয়ে হচ্ছে। এতে বিমানের একটা বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হবে।

বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের সময় ওই নারী পাইলটের পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে ওই পাইলটের পক্ষে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এসব অনিয়মের কারণে বিমানের বেশ কয়েকজন পাইলটের লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে এবং ওই পাইলটদের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সতর্ক করে চিঠিও দিয়েছে।

বাপা বলছে, পাইলট নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত হলে আরও অনিয়ম বেরিয়ে আসবে।

এ বিভাগের আরো খবর