রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খেয়ে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৪০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে ১৫ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার রাতে পাবনা শহরের পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউস নামের একটি রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন।
রোববার বেলা ৩টার দিকে শহরের এআর কর্নারের পাশে ওই রেস্টুরেন্টের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন পাবনা টেক্সটাইলের শিক্ষার্থীরা।
তারা রেস্টুরেন্ট মালিকের শাস্তি ও ভেজালমুক্ত খাদ্য পরিবেশনের দাবি জানান। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার কলেজের ফিস্ট ছিল। এ জন্য ৪২ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার দেয়া হয়। রাতে সেগুলো খেয়ে একে একে ৪০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ১৫ জনের অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের অভিযোগ, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নান্না বিরিয়ানির চমকপ্রদ নাম ব্যবহার করে এই রেস্টুরেন্ট প্রতারণা করছে। রোববার শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। অসুস্থ অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউসের ম্যানেজার সজিব হোসেন বলেন, ‘শনিবার আমরা প্রায় ২০০ মানুষের কাছে বিরিয়ানি বিক্রি করেছি। কেউ অভিযোগ দেন নাই। এই শিক্ষার্থীরা কীভাবে অসুস্থ হয়েছে আমরা বলতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুধু মানুষের নজর কাড়তে এই নাম ব্যবহার করেছি।’
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফরিদা হলের প্রভোস্ট কামাল হোসেন বলেন, ‘বিরিয়ানি খেয়েই একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা বিষয়টি পাবনার খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শকের কার্যালয়ে জানাই। তারা এসে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। শিগগিরই এসব রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
পাবনার সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’