সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস বাড়ানোর জন্য বই কিনতে ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কোন বই কিনতে হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, বই কেনার জন্য যে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে, তাতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই রয়েছে। বইগুলো কীভাবে তালিকাভুক্ত হলো, সে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের যে উইং এই বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করেছে, তার প্রধানও ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলাম।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তালিকা কি চূড়ান্ত হয়েছে? চূড়ান্ত তো হয়নি মনে হয়। লিস্টে আছে নাম। এটা চূড়ান্ত হবে না। এটা আমরা চূড়ান্ত করিনি। এটা আমরা দেখছি, এটার বিষয়ে অবশ্যই আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব। এটা অবশ্যই হবে না।
‘গতকাল সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ বিষয়টি আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবো, যদি এর সত্যতা প্রমাণিত হয়, কোনো সমস্যা যদি দেখি তাহলে এই তালিকা বাতিলের ব্যবস্থা নেব বা সংশোধনের ব্যবস্থা নেব। এই সময় অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
তিনি বলেন, ‘একজনেরই যে ২৯টি বই এ তথ্য আমার জানা ছিল না। গণমাধ্যমে আসার পর এটা জানতে পেরেছি। আমরা এটি পরীক্ষা করছি। সে অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এটি নিয়ে আগামীকাল সবার সঙ্গে বসব, বসে সিদ্ধান্ত নেব।
‘বই কেনার টাকা চার বছরের ভিত্তিতে, প্রতিবছরের অর্থ বরাদ্দ থেকে ছোট ছোট করে তাদের বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতিবছর বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থছাড় গত বছরে হয়েছে। যেহেতু চার বছরের প্রকল্প, প্রতিবছরই অর্থ বরাদ্দ হবে।’
বই কেনা শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বই কেনা শুরু হয়েছে কিনা।’
‘হয়তো কেউ নাম দিয়েছে বা কোনো একটি বিষয় হয়তো আছে এখানকার। কিন্তু এটা তো আসলে চোখে পড়ার মতোই একটি বিষয়। যখন লিস্ট করা হবে, তালিকা যখন ফাইনাল হবে, তখন আমরা দেখব। হয়তো প্রাথমিক লিস্টে নামটি এসেছে। এটা তো ঠিক হয়নি। অবশ্যই ঠিক হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখব আসলে বিষয়টি কী হয়েছে। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে ঠিক হয়নি। আমি যতটুকু জানি, এটা চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই আমাদের চোখে এসেছে বিষয়টি। আমরা এরই মধ্যে এটা জেনেছি যে এ রকম একটি বিষয় হয়েছে। এটা তো হবেই না, অসম্ভব।’
এদিকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোমবার এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসব। বৈঠকে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে বই কেনার তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি পরীক্ষা করে প্রমাণিত হলে ওই তালিকা বাতিল করা হবে। মোট ১৪ শ বইয়ের তালিকা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ টাকা, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ টাকা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ টাকা।
‘আগামী চার বছরের জন্য ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে ১৪০০ বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যার ২৯টি বইয়ের কথা উঠছে, তা যাচাই-বাছাই হবে, কোনো সমস্যা থাকলে যা করণীয়, তাই করা হবে। তবে গণমাধ্যম থেকেই জানা গেছে একজনের ২৯টি বইয়ের ব্যাপারটি। আগামীকাল (সোমবার) এই বিষয়সহ সার্বিক বিষয় নিয়ে বৈঠক হবে।
‘মোদ্দাকথা, যা নৈতিকতাসম্পন্ন, তা-ই বাস্তবায়ন করা হবে। শুধু ওই ২৯টি বই নিয়ে নয়, সার্বিকভাবেই যাচাই-বাছাই হবে। এমন হতে পারে, প্রাথমিক এই তালিকা যাচাই সাপেক্ষে ১৪ শ বইয়ের তালিকা বাতিলও হতে পারে এবং সুনির্দিষ্ট বিষয় ধরে বই কেনা হতে পারে।’
‘গতকাল সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ বিষয়টি আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করব, যদি এর সত্যতা প্রমাণিত হয়, কোনো সমস্যা যদি দেখি তাহলে এই তালিকা বাতিলের ব্যবস্থা নেব বা সংশোধনের ব্যবস্থা নেব। এই সময় অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
তিনি বলেন, ‘একজনেরই যে ২৯টি বই এ তথ্য আমার জানা ছিল না। গণমাধ্যমে আসার পর এটা জানতে পেরেছি। আমরা এটি পরীক্ষা করছি। সে অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এটি নিয়ে আগামীকাল সবার সঙ্গে বসব, বসে সিদ্ধান্ত নেব।
‘বই কেনার টাকা চার বছরের ভিত্তিতে, প্রতি বছরের অর্থ বরাদ্দ থেকে ছোট ছোট করে তাদের বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতি বছর বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থছাড় গত বছরে হয়েছে। যেহেতু চার বছরের প্রকল্প, প্রতি বছরই অর্থ বরাদ্দ হবে।’
বই কেনা শুরু হয়েছে কি না জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বই কেনা শুরু হয়েছে কি না।’