রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে কোনো দেশের সরকার রাজি হলে তা যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সচিবালয়ে এ-সংক্রান্তে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিতে যারা প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। এখনও প্রস্তাব আসেনি।
‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে। আমরা বলব, অল্প না নিয়ে বেশিসংখ্যক তারা নিক। তাতে আমাদের সুবিধা হবে।’
এ ছাড়া কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পের ভেতরে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কারণে ক্যাম্পে রক্তপাত দেখছি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখছি। বিনা কারণে রক্তপাত আমরা দেখছি। মিয়ানমার থেকে ড্রাগ আনা-নেয়া দেখছি। তথ্যভিত্তিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী অভিযানে অংশ নেবে। যৌথভাবে ভেতরে এবং বাইরে টহল-অভিযান করবে।’
‘মাদকের প্রবেশ রোধে নাফ নদে মাছ ধরার ট্রলারে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে অপরাধ যেন না ঘটতে পারে, সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তারা মিয়ানমারের মোবাইল ব্যবহার করে। তারা যেন আমাদের দেশীয় মোবাইল অপারেটরের সিম ব্যবহার করে সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর পূর্তিতে ২৫ আগস্ট এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
এদিকে জাপান আরও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
মিয়ানমারে হত্যা-দমন-ধর্ষণের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আসার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। বর্তমানে এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।