চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ হওয়ায় হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন বাগানে শ্রমিকরা আনন্দ-উল্লাস করে মিষ্টিও বিতরণ করছেন।
শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ায় খুশি তারা। তবে রোববার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় তারা কাজে ফেরেননি। সারা দিন তাই আনন্দ উল্লাস করে দিনটি উদযাপন করবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাচ-গানের পাশাপাশি আনন্দ শোভাযাত্রা করেন শ্রমিকরা। ঢোলের তালে তালে শ্রমিকদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিভিন্ন নাচ প্রদর্শন করেন তারা। এ ছাড়া প্রতীকী নৌকা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন স্লোগানও দেন তারা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক নারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্ধ্যা রানী ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ৩০০ টাকা মজুরি, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, আমরা তাতেই খুশি। আমরা আনন্দ নিয়ে সোমবার থেকে কাজে ফিরে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা সারা দিন আনন্দ-উল্লাস করব। আজ আমাদের বাগানে উৎসব শুরু হয়েছে। আজ আমরা সারা দিন নাচ-গান করব।’
চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আজকে দিনটি কাটাব। সারা দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রতীক নৌকা নিয়ে আনন্দ মিছিল করব। মিষ্টি বিতরণ করব। নাচ-গান করব আর প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থনা করব। উনি যাতে সব সময় ভালো থাকেন।’
দুপুরে চান্দপুর চা-বাগানে যান চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক। এ সময় তিনি শ্রমিকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করায় শ্রমিকরা আনন্দ-উল্লাস করছেন শুনেই আমি আর অফিসে থাকতে পারলাম না। আমি শ্রমিকদের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করতে চলে আসলাম।’