বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হবে সন্ধ্যায়

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২২ ১২:১৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঝেমধ্যেই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। থাকতে হয়েছে হাসপাতালেও।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারও হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

রোববার সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই দিন এভারকেয়ার হাসপাতালে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করেন তিনি। এ সময় তার স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঝেমধ্যেই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। থাকতে হয়েছে হাসপাতালেও।

এর আগে ১১ জুন গুলশানের বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ওই দিন মধ্যরাতে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা শেষে ২৪ জুন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যান বিএনপি নেত্রী। দণ্ড বাতিলের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করার পর দুর্নীতি দমন কমিশন আপিল করে সাজা বাড়ানোর। ওই বছরের অক্টোবরে সাজা বেড়ে হয় দ্বিগুণ। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।

বিএনপির আবেদনের পর মানবিক বিবেচনায় এখন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত আছে। গত ২৩ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা পাওয়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবেন কারাগারের বাইরে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পাওয়া খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বেড়েছে।

দুই বছর আগে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর রাজনীতি থেকে পুরোপুরি দূরে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী। তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি দেননি, দলীয় কোনো বৈঠকে অংশ নেননি, এমনকি জাতীয় দিবস বা ঈদ-পূজার মতো উৎসবেও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাননি।

বিএনপি নেত্রীর রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কোনো কারণ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়নি। পুরো সময়টায় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর