বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ষোড়শ সংশোধনী মামলার রিভিউ শুনানি ২০ অক্টোবর

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২২ ১১:৫৩

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। সেই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারি করে। এরপর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত মামলার পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২০ অক্টোবর তারিখ ঠিক করে দিয়েছে চেম্বার আদালত।

দীর্ঘদিন পর শুনানির তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মামলার অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হরিদাস পাল।

তিনি বলেন, ‘আগামী ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।’

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। সেই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারি করে। এরপর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

দীর্ঘদিন পরে মামলাটির শুনানির উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ আগস্ট চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন।

এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি, রিভিউ শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। শুনানির জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’

বহুল আলোচিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের দেয়া রায় রিভিউর জন্য সর্বোচ্চ আদালতে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের ৯৪টি সুনির্দিষ্ট যুক্তি তুলে ধরে ৯০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে পুরো রায় বাতিল চাওয়া হয়।

রিভিউয়ে যুক্তি তুলে ধরে প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সে সময়ে জানিয়েছিলেন, সংবিধানের তফসিলে সন্নিবেশিত ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল প্রণীত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ উল্লেখ করে রিভিউ আবেদনে বলা হয়, “একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের ফাউন্ডিং ফাদার রূপে স্বীকৃত। আপিল বিভাগ ‘ফাউন্ডিং ফাদার্স’ বহুবচন শব্দ ব্যবহার করে ভুল করেছেন। তাই এর পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন। রায়ের একটি অংশে পর্যবেক্ষণে ‘আমিত্ব’ ধারণা থেকে মুক্তি পেতে হবে বলে যা উল্লেখ আছে, সে প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদনে যুক্তি দেখিয়ে বলছেন, ‘আদালতের এই পর্যবেক্ষণ ভিত্তিহীন ও অপ্রত্যাশিত, যা আমাদের এই মামলার বিবেচ্য বিষয় নয়। এটি সংশোধনযোগ্য।”

ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায়ের আরেকটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘১. আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সংসদ এখনও শিশুসুলভ, ২. এখনও এই দুটি প্রতিষ্ঠান মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।’

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি হচ্ছে, ‘এই পর্যবেক্ষণ আদালতের বিচার্য বিষয় নয়। বিচারিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে এই পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে, যা সংশোধনযোগ্য।’

ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায়ের আরেকটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘সংসদীয় গণতন্ত্র অপরিপক্ব। যদি সংসদের হাতে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয়, তবে তা হবে আত্মঘাতী।’

এর সুরাহা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আদালতের এই পর্যবেক্ষণ শুধু অবমাননাকরই নয়, বরং ভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্ন। আদালতের বিচারিক এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে এই মন্তব্য করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর