বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থাভাবে নিভে যেতে বসেছে তরুণের জীবন

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২২ ১৯:৫১

সাব্বির বলেন, ‘আমি বাঁচতে চাই। ঢাকা কলেজের সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। এর বাইরে যারা বিত্তবান আছেন তারা আমার সাহায্যে এগিয়ে এলে আমার চিকিৎসা সম্ভব হবে। আমার বাবার পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।’

অর্থাভাবে যেন নিভে যেতে বসেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান সাব্বিরের জীবন প্রদীপ। ২৩ বছর বয়সী দুরারোগ্য ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত সাব্বির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) প্রফেসর ডা. আব্দুল আজিজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাব্বিরের বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করতে প্রায় ২২ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না। তাই সমাজের বিত্তবান ও ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠিত সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছে সাব্বিরের চিকিৎসায় মানবিক সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

ব্লাড ক্যানসারে সাব্বিরকে ইতোমধ্যে দুই সাইকেল কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। তবে তাতে তেমন উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা। তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাই চিকিৎসক অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন, যা খুবই ব্যয়বহুল। তার বাবা বশির আলম একজন প্রান্তিক কৃষক। তার পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। তার কৃষিজমি বিক্রি করে তিনি তার সন্তানের চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে জমি বিক্রির পরও এত টাকা তিনি সংগ্রহ করতে পারেননি বলে জানান সাব্বিরের বাবা বশির আলম।

তিনি বলেন, ‘রোগ ধরা পড়ার পর পরই দুই সাইকেল কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। এতে তেমন কোনো উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের কথা বলছেন। এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার মেয়ের সঙ্গে যদি রক্তসহ সবকিছু ম্যাচিং হয় তাহলে আনুষঙ্গিক খরচ ছাড়াও শুধু অপারেশনেই খরচই ১৬ লাখ টাকা, এর সঙ্গে আরও কিছু খরচ আছে, যা ২০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। আর যদি পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো কিছু ম্যাচ না করে তাহলে বাইরে থেকে ডোনার নিয়ে এটা করতে হবে। তাতে আরও বেশি টাকা লাগবে।’

ইতোমধ্যে প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এর আগেও কেমোথেরাপি দিতে আরও প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

কেমো খরচ জোগাতেই আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাব্বিরের কৃষক বাবা এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন। সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে দেশের সব মানবিক মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন।

তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। বাবা একজন ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক মো. বশির আলম ও মা মোসা. সালমা আক্তার গৃহিণী। বশির আলমের দুই সন্তান। হাসিবুর বড় এবং তার ছোট এক বোন রয়েছে। হাসিবুর ঢাকা কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন।

সাব্বির বলেন, ‘আমি বাঁচতে চাই। ঢাকা কলেজের সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। এর বাইরে যারা বিত্তবান আছেন তারা আমার সাহায্যে এগিয়ে এলে আমার চিকিৎসা সম্ভব হবে। আমার বাবার পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।’

হাসিবুর রহমান সাব্বিরকে সহযোগিতা করতে তার বাবা বশির আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তার মোবাইল নম্বর ০১৭৩২৬৯৬৩৮১। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম: বশির আলম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ১০০০১১০০১, বেতাগী সোনালী ব্যাংক শাখা।

এ বিভাগের আরো খবর