প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এসবিএসএল নামে একটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া র্যাব।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব কুষ্টিয়া ক্যাম্পে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য জানান।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক দিন ধরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৬ আগস্ট এক ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় একটি মামলাও করেছেন বলে জানায় র্যাব।
কুষ্টিয়া এলাকায় সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড (এসবিএসএল) নামে ওই এমএলএম কোম্পানিটি গ্রাহকদের অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ১০ কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছে র্যাব।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, কোম্পানিটির প্রতারণার শিকার হয়েছে অন্তত তিন শতাধিক পরিবার। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহীতে শাখা খুলে গ্রাহকদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল তারা।
র্যাব জানায়, অভিযুক্ত কোম্পানি নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে গ্রাহকদের ১ হাজার ২০০ টাকার বিনিময়ে আইডি খুলতে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে। ১ হাজার ২০০ টাকার সমমূল্যের পণ্য ও প্রতিদিন ১০ টাকা করে দেয়ার আশ্বাস দেয় প্রতিষ্ঠানটি। শুরুর দিকে কিছু গ্রাহক টাকা ও পণ্য পাওয়ার কারণে অনেকেই আইডি খুলতে উৎসাহিত হন। একপর্যায়ে গ্রাহকদের লভ্যাংশের টাকা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান কোম্পানির লোকজন। এতে বিনিয়োগকারী শত শত গ্রাহক দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এসব অভিযোগ পেয়ে র্যাব-১২ কাজ শুরু করে। একপর্যায়ে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় প্রতারক চক্রটির সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন এসবিএসএল কোম্পানির চেয়ারম্যান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার চরআউশিয়া গ্রামের মো. সাজ্জাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের মহসীন আলী, অর্থ পরিচালক কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের ইমরান হোসেন, বহলবাড়িয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের হাসান আলী, মহেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান, পান্টি ইউনিয়নের ওয়াসী গ্রামের মোস্তফা রাশেদ পান্না ও বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামের আয়ুব আলী।
র্যাব আরও জানায়, কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও অর্থ পরিচালকের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকটি জালিয়াতির মামলা রয়েছে।