জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট তার সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে যেসব দেশের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেগুলোর মধ্যে নেই বাংলাদেশ।
জেনেভায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকারপ্রধান, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট।
সংবাদ সম্মেলনে মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, তিনি চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন, যার অবসান হচ্ছে আগামী বুধবার। এ চার বছরে বিশ্বে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে।
তিনি জানান, তার সময়টাতে করোনাভাইরাস মহামারির ব্যাপক ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সংকট দেখেছে বিশ্ব।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের ভাষ্য, আন্তরাষ্ট্রীয় মেরুকরণ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বহুপাক্ষিকতা রয়েছে চাপে।
সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েক মাসে বুরকিনা ফাসো, নাইজার, আফগানিস্তান, চীন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, পেরু এবং বাংলাদেশ সফরের কথা জানান মিশেল ব্যাচেলেট। এ সময়ে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সশস্ত্র সংঘাত, খাদ্য, জ্বালানি, আর্থিক সংকট, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, কাঠামোগত বৈষম্য এবং মানবাধিকারবিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো নিজ চোখে দেখেছেন বলে জানান।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ইরান, সৌদি আরব, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশে প্রতিনিয়ত মৃত্যুদণ্ড দেয়া কিংবা চালু হওয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। অন্যদিকে চীন ও ভিয়েতনামের মতো দেশ রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার অংশ হিসেবে ডেটা গোপন রাখা অব্যাহত রেখেছে, যাতে করে সূক্ষ্ম পর্যালোচনার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।
বক্তব্যে ইউক্রেন যুদ্ধ, ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ, রোহিঙ্গা সংকটের মতো অনেক বিষয়ের অবতারণা করেন ব্যাচেলেট, তবে তার বক্তব্যে যেসব দেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছিল না বাংলাদেশের নাম।