ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারত্বে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে হচ্ছে ষষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।
‘ফেস্টিভাল সিটি’ হিসেবে এডিনবার্গের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ সম্মেলন হচ্ছে। বিশ্ব-সংস্কৃতি বিনিময়ের সবচেয়ে বড় এ মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সাংস্কৃতিক নীতি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবকে উৎসাহিত করতে অনন্য বৈশ্বিক সুযোগ হিসেবে দেখা হয় এ সম্মেলনকে। এবারের সম্মেলনে সংস্কৃতি ও টেকসই ভবিষ্যতকেই তুলে ধরা হচ্ছে।
সম্মেলনের অংশীদার হিসেবে রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভাল, স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট এবং স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সরকার।
এতে বিশ্ববরেণ্য শিল্পী, ইনফ্লুয়েন্সার ও বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি বিনিময় শাখার উপসচিব কাজী নুরুল ইসলাম এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অফ আর্টস নাহিন ইদ্রিস।
বৈশ্বিক এ অনুষ্ঠানে সারা বিশ্ব থেকে আসা সংস্কৃতিমন্ত্রী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক-গবেষক এবং এ খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সামনে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অবস্থান ও সংস্কৃতি চর্চার উদাহরণ তুলে ধরবেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ।
স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া সাংস্কৃতিক, সামাজিক, পরিবেশগত ও রাজনৈতিক নানা দ্বন্দ্ব নিরসনে সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষা এবং সংস্কৃতি ও টেকসই স্থায়িত্বের মতো বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
পার্লামেন্টের ডিবেটিং চেম্বারের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বেসরকারি নীতিমালা আলোচনা এবং কর্মশালার মাধ্যমে প্রত্যেকটি প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হবে।
এডিনবার্গে ২০১৮ সালে হওয়া সংস্কৃতি সম্মেলনের পর এবারই প্রথম স্বশরীরে এতে অংশ নিচ্ছেন সংস্কৃতিমন্ত্রীরা।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে টেকসই পারিপার্শ্বিকতা অর্জনে আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইউনেসকোর মতো উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি সাংস্কৃতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই বাংলাদেশ নির্মাণে এই সহযোগিতা আমাদের কাজে আসবে।
“এ ছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ‘হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচ’ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অগ্রসর ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের এই চেষ্টায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।”