চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ সিএফসির কর্মীদের বিরুদ্ধে সাবেক এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাটল ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার অভিজিৎ দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যারা আমাকে মেরেছে তারা সবাই সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও ১৯-২০ সেশনের ছেলে। গত পরশু দিন তারা স্টেশনে মদ্যপ হয়ে ঘুরছিল। খুব রাফ বিহেভ করছিল। উল্টাপাল্টা পরিস্থিতি তৈরি করছিল। আমি তাদের ডাক দেই। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ জড়ো হলে সেই ছেলেগুলো সরি বলে চলে যায়। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার সাড়ে ৯টার শাটল ট্রেন ছাড়ার পর তারা ১০-১২ জন মিলে এলোপাতাড়ি আমাকে রড, শিকল মারা শুরু করে।
‘আমার মাথা ফেটে গেছে, পায়ে-পিঠেও আঘাত পেয়েছি। তাদের আমি চিনতে পেরেছি, কিন্তু নামগুলো সঠিক জানি না।’
মারধরের পর প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা আমাকে মারধরের পর পরের স্টপেজ নন্দীর হাটে নেমে যায়। নামার সময় মেরে ফেলব বলে হুমকিও দেয়।। আমি ষোলশহর পৌঁছালে আমাকে বন্ধুরা চট্টগ্রাম মেডিক্যালে নিয়ে যায়।। শাটলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোনো পুলিশ সদস্যও সে সময় ট্রেনে ছিল না।’
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন নাছির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে নাই, এগুলো আমি জানিও না। সিএফসি গ্রুপের নেতা আল-আমিন রিমন, তিনি জানবেন।’
সিএফসি নেতা ও সহসভাপতি আল-আমিন রিমনকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি কল ধরেননি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘ছাত্রলীগের পদধারী কেউ যদি জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য কেন্দ্রে আহ্বান করব। পদধারী না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, তারা ব্যবস্থা নেবে। বগিভিত্তিক সংগঠন হলে বগিভিত্তিক সংগঠনের নেতারা ব্যবস্থা নেবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সহকারী প্রক্টর বিষয়টি জেনেছেন। ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ভুক্তভোগীকেও বলা হয়েছে, জড়িতদের চিনলে নামসহ আমাদের লিখিত অভিযোগ করতে। ব্যবস্থা নেব।’