অবৈধ ক্যাসিনো চালানো, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা মামলায় প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বলেছেন, রাজনীতি নিয়ে তার কোনো ভাবনা নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শুক্রবারে বিকেলে সবার আগে তিনি যান বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে।
সম্রাট যাওয়ার আগেই অসংখ্য ভক্ত-সমর্থক বেলা পৌনে ৩টা থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে আসতে থাকে। সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারা স্লোগান তোলেন। বলতে থাকেন, 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু; ডাক দিয়েছেন সম্রাট ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই; যুবলীগ আসছে, রাজপথ কাঁপছে'।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সম্রাট বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। আমরা সবাই শেখ হাসিনার কর্মী, বঙ্গবন্ধুর কর্মী। আমরা কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই।’
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দেয় আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এই জামিন দেন।
অসুস্থ বিবেচনায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার জামিন দেয়া হয়।
গত ১১ মে একই আদালত তিন শর্তে সম্রাটের জামিন আদেশ দেয়। ১৬ মে দুদক সম্রাটের জামিন বাতিলের আবেদন করে উচ্চ আদালতে।
পরে ১৮ মে হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। এরপর ২৪ মে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান সম্রাট। তবে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।