স্ত্রীকে নিয়ে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট খেয়েছেন, মায়ের কাছে গিয়ে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে চেয়েছেন ক্ষমা। এরপর মায়ের সামনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান স্ত্রী, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ওই ব্যক্তি।
এ ঘটনা নাটোরের বড়াইগ্রামের কালিকাপুর এলাকায় শুক্রবার ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক।
মৃত নারীর নাম বীথি খাতুন। তার স্বামী ফারুক হোসেন ছিলেন এলাকার ফল ব্যবসায়ী। বীথি তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বীথিকে নিয়ে হালদারপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন ফারুক। পাশে কালিকাপুর এলাকায় ফারুকের মায়ের বাড়ি। শুক্রবার সকালে দুজনে নিজ ঘরে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট খেয়ে হেঁটেই মায়ের বাড়ি যান। দুজন মায়ের কাছে শেষ বিদায়ের কথা ও নানা অভিমানের কথা জানিয়ে ক্ষমা চান।
ওসি জানান, মায়ের সামনেই দুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়। পথেই বীথির মৃত্যু হয়। সংকটাপন্ন ফারুককে পাঠানো হয় রাজশাহীর নিউ লাইফ ক্লিনিকে।
পরিবারের বরাতে ওসি আরও জানান, প্রথম স্ত্রীর ঘরে ফারুকের দুই মেয়ে ও বীথির সঙ্গে তার এক ছেলে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক টানাপড়েন বা পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন এই দম্পতি।