বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশ কতটা এগিয়েছে, সেটি বোঝাতে গুলিস্তান হকার্স মার্কেটে পুরোনো কাপড় বিক্রি না হওয়াকে উদাহরণ হিসেবে দেখাতে চান সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বলেছেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সঙ্গে শেখ হাসিনা দেশে ন্যায়বিচারও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ পর্ষদ সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী স্মরণে এর আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দলের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আজকে মানুষ না খেয়ে থাকে না। হকার্স মার্কেটে আগে পুরাতন কাপড় বিক্রি হতো, এখন নতুন কাপড় বিক্রি হয়। অর্থাৎ নতুন কাপড়ের অধিকার শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
তিনি বলেন, “গ্রামে ফকিরকে বাসি ভাত দিতে গেলে বলে ‘আমার তো গ্যাস্ট্রিক, আমি বাসি ভাত খাই না। আর শহরে তো কেউ ভাত নেবেই না। পয়সা ছাড়া নেয় না। আর এক টাকা ভিক্ষাও তো নেয় না।
“অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বিনা পয়সায় বই, একই সঙ্গে বাসস্থান তিনি (শেখ হাসিনা) দিয়েছেন। চিকিৎসায় কমিউনিটি ক্লিনিকে ২২ ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। অর্থাৎ শেখ হাসিনা তার ওয়াদা রেখেছেন, তার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।”
শেখ হাসিনার হিসাব খুব ‘কঠিন’ উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কোনো ফাঁকি নেই। আজকে আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারি, মৌলিক অধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, যেটা তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই আমাদের নেত্রী তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।’
বঙ্গবন্ধু থাকলে ১০ বছরেই মৌলিক অধিকারে নিশ্চয়তা পাওয়া যেত বলেও মনে করেন মতিয়া।
দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা অপরাধীর অপরাধ বিচার করে শাস্তি দেন। বিনা বিচারে কাউকে শাস্তি পেতে হয় না। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সঙ্গে ন্যায় বিচার আজকে শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত করছেন।’
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যারও বিষয়টিও তুলে ধরেন মতিয়া। এরপর ক্ষমতায় আসা খোন্দকার মোশতাক আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের শাসনামলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা যখন শিশু রাসেলসহ পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলল, তখন মনে করল আর কেউ হাল ধরতে পারবে না। উপরে আল্লাহ নিচে জনগণের ওপর ভর করে, কী অসীম সাহসের ওপর ভর করে আমাদের নেত্রী বাংলাদেশে পা দিয়েছিলেন! সেদিন বৃষ্টির পানি আর শেখ হাসিনার চোখের পানি একাকার হয়ে গিয়েছিল।
‘শেখ হাসিনা তো আমাদের সবকিছু দিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, সন্তানের পরিচয় যে মায়ের নামে হওয়া, এটা তিনি আমাদের শাসনতন্ত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন।’