মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে উপজেলা বিএনপি।
গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার মেহেরপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়।
গাংনী উপজেলা যুবদলের সভাপতি মালেক হোসেন চপল নিউজবাংলাকে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘গত ১৩ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলার আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু, আসিফ ইকবাল অনিকসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল ভাঙচুর, সাইনবোর্ড ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ ওঠে।’
গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু নিউজবাংলাকে জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিকভাবে বতর্মান সরকারকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে অসত্য তথ্য তুলে ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছেন। মামলা করে ছাত্রলীগকে থামানো যাবে না।
গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান (মুকুল) নিউজবাংলাকে জানান, গাংনী উপজেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মতো এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং সেদিন যুবদলের নেতাকর্মীরা দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের ধাওয়া করেছিল। বিএনপির কাজ হলো মিথ্যাচার করে রাজনীতি করা।