বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৬

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২২ ২৩:৫০

স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষ করে পথের বাজার এলাকায় পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল ছোড়া এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই দলের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।

খুলনার দিঘলিয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

দিঘলিয়া উপজেলার পথের বাজারে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, পথের বাজারে দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করছিল। একই সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই বাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরে মান্দারের বটতলায় উপজেলা বিএনপির সমাবেশ চলছিল।

তারা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষ করে পথের বাজার এলাকায় পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল ছোড়া এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই দলের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, সংঘর্ষে তাদের ৭ নেতা আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা ফিরোজ হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম, বারাকপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আলী বাকের প্রিন্স, উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মো. সোহেল, সদস্য মো. রাতুল, দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি খান দেলওয়ার হোসেন ও উপজেলা যুবলীগ সদস্য আল আমিন শেখ।

বিএনপির দাবি, সংঘর্ষে তাদের ৯ জন আহত হন। তারা হলেন, খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোল্যা খায়রুল ইসলাম, দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাপন, সদস্য ইব্রাহিম, ছাত্রদল নেতা আমির হোসেন, সবুজ গাজী, সাজ্জাদ হোসেন, রাব্বি রিয়াজ, জুলফিকার ও বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোহেল পারভেজ।

বিএনপির দাবি, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দিঘলিয়া থানা যুবদলের আহ্বায়ক কুদরত-ই এলাহী ও বিএনপি কর্মী রাসেল আহমেদ নাসিমকে আটক করেছে।

দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খাঁন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সমাবেশস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিএনপির কর্মসূচি ছিল। তারা আমাদের সমাবেশের কাছে এসে উসকানি সৃষ্টি করে। তাদেরকে আমরা বারবার সরে যেতে বলেছি। এক পর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত সাত জন আহত হন। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খাঁন বলেন, ‘আমরা সমাবেশ করার সময় মোল্লা ফিরোজ হোসেন মোটরসাইকেল টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি গালাগাল করেন। সমাবেশ শেষ করে ফেরার সময়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করেন। আমাদের ৯ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে।’

ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানার ওসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর