রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইনে কাজ করতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেইজার বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সরকারপ্রধান এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমারের উচিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইনে কাজ করতে দেয়া।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারকে এটা বলেছি এবং এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া আসেনি। আমরা এর সমাধান চাই। আর কতদিন আমরা এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দেব?’
রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ সামাজিক অপরাধ, মানব পাচার ও মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, তারা এই অঞ্চলের পরিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে এই চুক্তি সইয়ের পর প্রায় ৬২ হাজার উদ্বাস্তুকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত জানান, তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিয়ানমারে তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের সব সংস্থা ও এনজিওগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে জানিয়ে নোলিন হেইজার বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলায় বাংলাদেশের ব্যাপক সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মিয়ানমার সফরের উল্লেখ করে নোলিন হেইজার বলেন, ‘আমি মিয়ানমার সফর করেছি এবং সেখানকার সামরিক শাসকদের রোহিঙ্গা সংকটের একটা সমাধান খুঁজে বের করার কথা বলেছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।