গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক শীতল চন্দ্র পাল।
অভিযুক্তরা হলেন রাকিব মিয়া, মো. হেলাল, প্রদীপ বিশ্বাস, নাহিদ রায়হান, তুর্য মণ্ডল, পিয়াস ফকির, জীবন জমাদ্দার ও ফরিদ শেখ।
তদন্তে ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ না মেলায় অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে দুজনকে।
মামলার বাদী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ডিএনএ টেস্ট করে আসামিদের শনাক্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে এবং দুজনকে বাদ দেয়ার বিষয়ে এ পর্যন্ত ভিকটিমও কোনো কথা বলেনি, তাই আপাতত বিষয়টি আমরা মেনে নিয়েছি। ভিকটিম যদি কোনো অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার দিকে এগোব।’
তদন্ত কর্মকর্তা শীতল চন্দ্র জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শহরের নবীনবাগ এলাকার হেলিপ্যাডসংলগ্ন নির্মাণাধীন জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বারান্দায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
ওই রাতে প্রক্টর অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের নামে সদর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনও করেন। একে একে গ্রেপ্তার হন আসামিরা।