পুলিশের করা নাশকতার মামলায় খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত।
খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. ওহিদুজ্জামান শিকদার বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ চার্জগঠন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী (স্পেশাল পিপি) মাহমুদা ফারহানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সরকার উচ্ছেদ এবং বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ধ্বংসের উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি এবং ইটের টুকরা নিয়ে রওনার অভিযোগে মামলা করে পুলিশ।
সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড় শ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
চার্জগঠন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন স্পেশাল পিপি মাহমুদা ফারহানা। আসামিপক্ষে ছিলেন এস এম মনজুর আহমেদ, মোল্লা গোলাম মওলা, লস্কর শাহ্ আলম, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ রফিকুজ্জামান ও ওমর ফারুক বনি।
মাহমুদা ফারহানা জানান, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন সোনাডাঙ্গা থানার এসআই পল্লব কুমার সরকার। এতে বিএনপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীকে চার্জশিটভুক্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি আমলে নেয় ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর। এদিন মামলাটি বিচারের জন্যে বিভাগীয় স্পেশাল জজ খুলনা আদালতে হস্তান্তর করা হয়।
চার্জগঠন সম্পর্কে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলমত দমনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাল্পনিক অভিযোগের মামলাগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এসব করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ লুটেরা সরকার আবারও একটি সাজানো-পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা আঁটছে।
‘তথাকথিত নাশকতার মামলাগুলোর সাজানো-পাতানো রায় দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। সেই দিবাস্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে লজ্জাজনক পতন হবে ফ্যাসিস্ট সরকারের। তবেই মুক্ত হবে বিচার বিভাগ, প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার।’
বিএনপি সূত্র জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।