সাবেক স্পিকার ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছে আদালত।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদ তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দুদক পাঁচটি মামলা করে।
২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এসএম খবীরউদ্দিন।
এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত অভিযোগ আমলে নেয়। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। তখন হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে।
ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেয়। এরপর আবেদনটি ঘুরে হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে গেলে রুল খারিজ হয়। পরে সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যান জমির উদ্দিন সরকার।