বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭১, ৭৫, ২০০৪-এর ঘাতকরা এক-অভিন্ন: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২২ ১৬:০৭

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূলহোতা তখনকার সরকার। জজ মিয়ার নাটক থেকে শুরু করে সবকিছু এখন সুস্পষ্ট। ৭১-এর ঘাতক, ৭৫-এর ঘাতক, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘাতক, ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসী-ঘাতক এরা সব এক এবং অভিন্ন। এবং তারা এখন আবার আস্ফালন করছে, আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাতে চায়।’

একাত্তর ও পঁচাত্তর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘাতক এরা সবাই এক এবং অভিন্ন। এমনটি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ক্লাবে আইভি রহমান পরিষদ আয়োজিত আইভি রহমান স্মরণে আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালের অগ্নি-সন্ত্রাসীরাও সব এক এবং অভিন্ন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূলহোতা তখনকার সরকার। জজ মিয়ার নাটক থেকে শুরু করে সবকিছু এখন সুস্পষ্ট। ৭১-এর ঘাতক, ৭৫-এর ঘাতক, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘাতক, ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসী-ঘাতক এরা সব এক এবং অভিন্ন। তারা এখন আবার আস্ফালন করছে, আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। যে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, যে বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়ে গেছেন, যে পথে তার কন্যার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি, সে পথ কোনো দিন সহজ ছিল না। সে পথে বারবার কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে, বারবার বোমা গ্রেনেড পুঁতে রেখেছে, ছুড়েছে এই ঘাতকের দল। আজকেও তারা একইভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’

প্রয়াত আইভি রহমানকে স্মরণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়াত আইভি রহমান একজন মহীয়সী নারী, যিনি কর্মীবান্ধব নেতা, একজন সফল স্ত্রী, সফল মা এবং আমাদের সকলের কাছে অনুকরণীয় নারী নেত্রী। আমরা রাজনীতিতে যারা আছি, তারা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তার জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু অনুসরণীয় আছে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাজনীতি যারা করছেন, এই যে অপশক্তি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা ব্যাহত করতে চায়, সেই অপশক্তি প্রায়শই শিক্ষাঙ্গনকে বেছে নেয়। অরাজকতা যারা করছে এইগুলো প্রশ্রয় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা কঠোর হাতে সেগুলোকে দমন করব।’

ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের কাছে কোচিং না করলে তাদের ভিন্ন চোখে দেখেন। তাদের ফেল করিয়ে দেন- এক সাংবাদিকের এমন তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা অনৈতিক। কোচিং এমনিতে দরকার হতে পারে। আমাদের দেশের ক্লাসের সাইজ যে রকম তাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সমানভাবে মনোযোগ দেয়ার পরিবেশ আমরা এখনো তৈরি করতে পারিনি।

‘আমাদের ক্লাস সাইজকে ৩০, ৩৫, ৪০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে হবে। এর বেশি হলে একজন শিক্ষকের পক্ষে ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীর দিকে একজন শিক্ষকের সমান মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। কাজেই কারও কারও দুর্বলতা থেকে যেতে পারে।’

তিনি বলেন, কেউ কেউ বাড়িতে পরিবার থেকে পড়াশোনার সহযোগিতা পায় না। কাজেই কোচিংয়ের প্রয়োজন পড়তে পারে। অন্যান্য দেশেও কোচিংয়ের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কোচিংয়ের সমস্য হচ্ছে, একজন শিক্ষক ক্লাসে ভালো পড়ান বা না পড়ান, নিজের ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের তার কাছে পড়তে বাধ্য করেন, তাকে কম নম্বর দেন, ফেল করিয়ে দেন, এটা খুবই অনৈতিক। এটি অপরাধজনক একটি কাজ। সেটি যাতে না করতে পারে এর জন্য আমাদের প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে সুস্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এবং এটি বন্ধ করার প্রস্তাব সেখানে আছে।

এ বিভাগের আরো খবর