দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী অথরাইজ অফিসার মো. আলী আজম মিয়াকে আলাদা দুই ধারায় ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫১০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।
অসাধু উপায়ে অর্জিত এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫১০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া আরেক ধারায় তাকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আলী আজম মিয়া টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার শাহধারী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সে ক্ষেত্রে আসামিকে ৬ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করে আদালত। এদিন রায় পেছানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। তবে তা নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করে আদালত।
আলী আজম মিয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা-পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক রাহিলা খাতুন এক কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ২০২ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৫৬ লাখ ৮৭ হাজার ১১০ টাকা সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেন আদালতে।