আদালতের আদেশ অমান্য করায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
আগামী ২৮ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ.কে.এম. রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হুসাইন সেতু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস-আল-হারুনী।
পরে আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী সেতু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জের সোহাগ টিম্বার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে কাঠ ক্রয় করে ফরিদপুরের এক ক্রেতা। সেই কাঠবোঝাই ট্রাক ফরিদপুর গেলে তা জব্দ করে পুলিশ। তখন আমরা আমাদের ব্যবসা পরিচালনার যাবতীয় সরকারি বৈধ কাগজপত্র ফরিদপুর বন বিভাগে দেখানোর পরও সেটি হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
‘এ অবস্থায় ওই বছরের ২ মার্চ আমরা প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর আবেদন করি। দীর্ঘদিনেও আমাদের আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় ওই বছরের ২ মে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। রিটে বন সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, সামাজিক বনায়ন ফরিদপুরের প্রধান এবং ফরিদপুর জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ৩০ দিনের মধ্যে প্রধান বন সংরক্ষককে আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
‘পরে ৩০ দিন পেরিয়ে গেলেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রধান বন সংরক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আইনি নোটিশ দিই। এরপর নোটিশের জবাব না পেয়ে জুন মাসে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ করি। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট প্রধান বন সংরক্ষককে তলব করে আদেশ দেয়।’