জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, নিত্যপণ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া কমানোর দাবিতে বৃহস্পতিবারের অর্ধদিবস হরতালকে ‘নিরীহ’ বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল শেষে পল্টনের সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
প্রিন্স বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে নাকি একটি টায়ার পুড়িয়েছে কয়েকজন। সেখান থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
‘আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের শুধু ধরে নাই; অত্যাচার করেছে। আজকে এখন পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেয়া হয়নি। আমরা দাবি করছি, অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল এই যে হামলা এবং গ্রেপ্তার, এর মাহাত্ম্য আমরা বুঝি। যারা ক্ষমতায় আছেন একসময় আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছিলাম স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। এত নিরীহ হরতাল হয় কি না, সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞেস করেন। তারা বিশ্বাস করবেন না। কারণ তারা যখন ছিলেন, তখন হরতালের নামে ডরতাল সৃষ্টি করেছে। হরতালের নামে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে, কিন্তু আমরা বামপন্থিরা…এই হরতালের কাজ শুরু করেছি ৬ আগস্ট থেকে।
‘হরতাল শুধু আজকে নয়; আজকের হরতালই শেষ নয়। জিনিসপত্রের দাম না কমা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘এই সরকার দিনকে দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সরকার গরিব মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে পরিবহন মাফিয়াদের সিন্ডিকেট নিয়ে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে।
‘এই সরকার শুধু তেলের ও জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে তা নয়, দেশে দুঃশাসন কায়েম করেছে। এই সরকারকে হটাতে না পারলে সাধারণ মানুষের মুক্তি মিলবে না।’
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘এ দেশের শ্রমজীবী মানুষ আমাদের হরতালে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন, কিন্তু পরিবহন মালিক সিন্ডিকেট জোর করে শ্রমিকদের দিয়ে বাস চালাতে বাধ্য করেছেন। আজকের এই হরতালের মধ্যে গাড়ি চালিয়েছে শ্রমিকরা, কিন্তু তাদের নৈতিক সমর্থন ছিল (হরতালে)।’
বাম জোটের ডাকা হরতালে অন্যান্য দিনের মতোই চলেছে যানবাহন, তবে পল্টন মোড়ে হরতাল সমর্থকদের অবস্থানের কারণে বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।