বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমির হামজার উপসচিব ছেলেকে তিরস্কার

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২২ ১১:৫১

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. আছাদুজ্জামান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বাবা মরহুম মো. আমির হামজার ফৌজদারি মামলার দণ্ডপ্রাপ্তির তথ্য গোপন করে তাকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ প্রদানের জন্য আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সুপারিশ নেন, যা অসংগত ও শিষ্টাচারবহির্ভূত।’

দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য কারাদণ্ডের তথ্য গোপন করে মো. আমির হামজার নাম প্রস্তাব করা তার ছেলে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপসচিব পদমর্যাদার মো. আছাদুজ্জামানকে শুধু তিরস্কারের শাস্তি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এর আগে গত ১৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। এতে সাহিত্যে অবদান রাখায় মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পান কবি আমির হামজা।

আমির হামজার নাম ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্যে তার অবদান নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। একপর্যায়ে হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

বাবার পুরস্কারপ্রাপ্তির পেছনে কবির মেজো ছেলে উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের তৎপরতার খবরও আসে সংবাদমাধ্যমে। পরে পুরস্কারের তালিকা থেকে আমির হামজার নাম বাদ দেয়া হয়।

এরপর গত মে মাসে আমির হামজার ছেলে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করা হয়।

উপসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ভুল তথ্য দিয়ে তার বাবা আমির হামজাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হতে সহযোগিতা করেছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. আছাদুজ্জামান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বাবা মরহুম মো. আমির হামজার ফৌজদারি মামলার দণ্ডপ্রাপ্তির তথ্য গোপন করে তাকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ প্রদানের জন্য আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সুপারিশ নেন, যা অসংগত ও শিষ্টাচারবহির্ভূত।’

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় মামলা রুজু ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানিসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে তাকে তিরস্কার নামীয় লঘুদণ্ড দেয়া হয়।

অবশ্য আছাদুজ্জামানের আবেদনে সুপারিশকারী হিসেবে বাণিজ্য সচিবের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না তা উল্লেখ করা হয়নি মন্তব্যে।

২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ৮৭ বছর বয়সে মারা যান আমির হামজা। তার এই পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা তিনটি। ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ ও ‘একুশের পাঁচালি’। তিনটি গ্রন্থই ‘অন্যপ্রকাশ’ থেকে মুদ্রিত। তার অন্য দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘কাব্যরাণী’ ও ‘ইকরা’ প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

এ বিভাগের আরো খবর