জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে রাস্তায় টায়ার পোড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতালের আগের রাতে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় থেকে আটক করা হয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি এম আর লিটন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের কোষাধ্যক্ষ সুজন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা রাস্তার মাঝখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। কিন্তু পরে তারা গাড়ি ভাঙচুর করে। গাড়ি ভাঙচুর করার পরে সেখান থেকে আমরা ৪ জনকে আটক করি।’
কী গাড়ি ভাঙচুর করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাস ভাঙচুর করেছে।’
সেই পরিবহনের নাম জানতে চাইলে ওসি বলেন, পরিবহন মূলত ভাঙচুরের পর চলে গেছে, আমরা সেখানে গিয়ে রাস্তায় কাঁচের টুকরা পেয়েছি। ভাঙচুর হওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ভাঙচুরের সময় আমাদের বিভিন্ন কন্ট্রোল থেকে ফোন দেয়ার পর পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাদের নিভৃত করে।’
ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে পল্টন মোড়ে হরতালের সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়েছিল আমাদের কয়েকজন। সেখান থেকে তাদের ধাওয়া দিয়ে সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি এম আর লিটন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের কোষাধ্যক্ষ সুজন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলকে আটক করে পুলিশ।’
তারা সেখানে কোনো গাড়ি ভাঙচুর করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু টায়ার জ্বালিয়েছিল, গাড়ি ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’