রাজধানীর বিজয়নগরে হামিম ইলেকট্রনিকসের গোডাউনে কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পথও জেনারেটর, চুলাসহ অন্যান্য সরঞ্জামে আটকানো ছিল। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ কার্টন থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।
ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বুধবার রাতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিজয়নগরের একটি ভবনে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে ইউনিটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে একসঙ্গে ১৩টি ইউনিট যুক্ত হয়। শতাধিক ফায়ার কর্মীর সম্মিলিত চেষ্টায় রাত ৮টা ২৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দিনমনি শর্মা বলেন, ‘এই গোডাউনের ভেতর এলইডি টিভি ও কম্পিউটার মনিটর তৈরি করা হতো। এর বাইরে এখানে বিপুল পরিমাণ কাগজের কার্টন ছিল। আমরা এসে দেখি আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে গেছে। কার্টনগুলো থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে এবং ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
‘গোডাউনটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। দোতলার ওপর স্টিলের ঢেউটিন দিয়ে আরেকটি ফ্লোর বানানো হয়েছে। অনেক শক্ত হওয়ায় আমাদের প্রবেশ করতে সমস্যা হয়েছে। দোতলার সিঁড়িও মালামালে আবদ্ধ ছিল। সিঁড়িতে চুলা, জেনারেটর ও রেস্টুরেন্টের অন্যান্য মালামাল রাখা ছিল।’
ঘটনাস্থলে হামিম ইলেকট্রনিকসের কাউকে পায়নি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার কারণ ও অন্যান্য বিষয় জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান দিনমনি।
তিনি বলেন, ভবনের ওপরের অংশ বৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল কি না তা তদন্তের পর জানা যাবে।