বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রবাসী গ্রাহকের ১৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে ‘উধাও’

  •    
  • ২৪ আগস্ট, ২০২২ ২১:২৫

উত্তরা ব্যাংকের জয়দেবপুর শাখার ব্যবস্থাপক স্কাইল্যাব চৌধুরী বলেন, ‘গ্রাহক অভিযোগ করেছেন তিনি এই টাকা ট্রান্সফার করেননি। বিষয়টি জানার পর আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি এবং প্রধান কার্যালয়ে জানিয়েছি। ইতোমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

গাজীপুরে উত্তরা ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রবাসী গ্রাহকের ১৮ লাখ টাকা উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহক জানান, তার অ্যাকাউন্ট থেকে দুই দফায় টাকাগুলো ট্রান্সফার হয়েছে, যা তিনি করেননি।

ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

নগরীর জয়দেবপুরের উত্তরা ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহক কাতার প্রবাসী শাহজাহান মোল্লা। তার বাড়ি সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায়।

শাহজাহান মোল্লা ফোনে নিউজবাংলাকে জানান, গত ২১ আগস্ট ব্যাংক স্টেটমেন্টের জন্য কাতার থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ব্যাংক থেকে জানানো হয় তার অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা দুটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে।

শাহজাহান বলেন, ‘চলতি মাসের ১৪ তারিখে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম ৮ লাখ টাকা ট্রান্সফার করা হয় সিটি ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার মেঘনা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি অ্যাকাউন্টে।

‘একইভাবে ওইদিন আরও ১০ লাখ টাকা পাঠানো হয় জয়পাড়া এসএমই শাখায় সুমাইয়া নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। অথচ আমি বাংলাদেশেই নেই। কাতারে থেকে কীভাবে আমি ব্যাংক থেকে টাকা ট্রান্সফার করলাম?’

অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের বিষয়টি দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের জানালে ২২ আগস্ট ব্যাংকে যান শাহজাহান মোল্লার ভাই জাহাঙ্গীর আলম। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পেয়ে সে রাতেই নগরীর বাসন থানায় অভিযোগ দেন তিনি। একই সঙ্গে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার প্রবাসী শাহজাহানের পক্ষে ব্যাংক ম্যানেজার বরাবর টাকা ফেরত পাওয়ার আবেদনও করেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যেকোনো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগে। এমনকি ৫০ হাজারের বেশি টাকা তুলতে গ্রাহকের কাছে ফোন করে অনুমতি নিতে হয়।

‘কিন্তু এই ১৮ লাখ টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো ডকুমেন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের দেখাতে পারেনি। এমনকি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমতিও নেয়নি। তাহলে কীভাবে এতগুলো টাকা ট্রান্সফার হয়ে গেল?’

এ বিষয়ে উত্তরা ব্যাংকের জয়দেবপুর শাখার ব্যবস্থাপক স্কাইল্যাব চৌধুরী বলেন, ‘বিইএফটিএনের মাধ্যমে প্রবাসী গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে সিটি ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্টে ১৮ লাখ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে।

‘গ্রাহক অভিযোগ করেছেন তিনি এই টাকা ট্রান্সফার করেননি। বিষয়টি জানার পর আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি এবং প্রধান কার্যালয়ে জানিয়েছি। ইতোমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

স্কাইল্যাব আরও বলেন, ‘সিটি ব্যাংকের সাতক্ষীরার অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া টাকা ফ্রিজ করা গেলেও জয়পাড়া এসএমই শাখার ১০ লাখ টাকা এরই মধ্যে তোলা হয়ে গেছে। আমরা সুমাইয়া নামে ওই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের বলা হয়েছে, টাকা লেনদেনের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

‘যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই আমি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব না। তবে আমরা গ্রাহককে জানিয়েছি যে ৩১ আগস্টের মধ্যে তার টাকা ফিরিয়ে আনা হবে।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, অভিযোগ তদন্তে এরই মধ্যে কাজ করছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর