একটি গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গোপন নির্যাতন কেন্দ্রের অভিযোগ এনে তথ্যচিত্র তৈরির পর রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের অভিযোগে অনলাইন পোর্টাল নেত্র নিউজের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার পর সেটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইলিয়াস আহমেদ। তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত।
মামলায় আসামি করা হয়েছে হাসিনুর রহমানকে। তাকে নেত্র নিউজের মালিক উল্লেখ করা হয়েছে।
হাসিনুর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার নাথের পাথুয়া বিনয়ঘর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছেন বলে উল্লেখ আছে মামলায়। তার সঙ্গে অন্য আসামির নাম উল্লেখ না থাকলেও প্রতিষ্ঠান হিসেবে নেত্র নিউজ রয়েছে।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে করা মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে তা তদন্তের নির্দেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল মজিদ।
বাদী ইলিয়াস আহমেদ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেত্র নিউজ আইডিতে একটি ভিডিওসহ পাবলিক পোস্ট নজরে আসে। সেখানে নেত্র নিউজ ফেসবুকে ‘আয়নার ঘরে বন্দি ডিজিএফআইয়ের গোপন বন্দিশালা’ শিরোনামে একটি মিথ্যা, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক ভিডিও প্রচার করেছে।”
ভাইরাল ভিডিওসহ পোস্টটি রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। মিথ্যা, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক এই অপপ্রচারের কারণে ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে।’
বাদী বলেন, ‘অপপ্রচারের এ বিষয়টি আদালত আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগের পক্ষের মানুষের অনুভূতিতে মিথ্যা এই অপপ্রচার আঘাত করেছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী জিয়াউর রহমান জিয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী আতিক উল আলম কল্লোলসহ অনেকে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের ঢাকা সফরের আগে আগে এ তথ্যচিত্রটি অনলাইনে ছাড়া হয়। এতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে আয়না ঘর নামে গোপন নির্যাতনকেন্দ্র আছে, যেখানে মানুষকে গুম করে রাখা হয়।
এই তথ্যচিত্র প্রকাশের পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে সরকারের কাছে তথ্য দাবি করছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য আসেনি।