আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ মনে করেন, বিএনপি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। হত্যার রাজনীতি বন্ধে তাদের ‘একঘরে’ করে রাখতে হবে।
রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বুধবার তিনি এ অভিমত দেন।
আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার এক আলোচনা সভা করে রাবেয়া-হামিদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
সেখানে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘একাত্তরে গণহত্যার জন্য যদি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়, তাহলে বিএনপি যে পরিমাণ হত্যাযজ্ঞ ও সন্ত্রাস চালিয়েছে তার জন্য রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার তাদেরও থাকার কথা নয়। এ দেশের রাজনীতি থেকে যত দ্রুত বিএনপিকে বিতাড়িত করা যাবে, ততই দেশ ও জাতির মঙ্গল। রাজনৈতিকভাবে তাদের একঘরে করে রাখতে হবে।'
বিএনপির সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারপ্রধান গোলাম আযমের নেতৃত্বে যেভাবে গণহত্যা হয়েছিল, ঠিক তেমনি একাধিক গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে বিএনপির নেতৃত্বে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে তা ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে।
‘হাওয়া ভবনের নির্দেশনায় দেশে অনেক গণহত্যা হয়েছে। হত্যার মানসিকতা নিয়েই বিএনপি রাজনীতিতে এসেছে। ২০০১-০৬ সাল মেয়াদে বিএনপি যে পরিমাণ হত্যাযজ্ঞ ও সন্ত্রাস চালিয়েছে তাতে তাদেরও রাজনীতি করার অধিকার থাকার কথা নয়। এ সময়ে শুধু আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যার শিকার হন।'
হানিফ বলেন, ‘একটা মিথ্যাবাদী কুলাঙ্গার লন্ডনে বসে মিথ্যাচার করছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য তারা শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছে। জনসভার স্থান আধা ঘণ্টা আগে পরিবর্তন করা হয়েছে, সমাবেশ মুক্তাঙ্গনে হওয়ার কথা ছিল, এমন কথা তারা ছড়াচ্ছে।
‘অথচ আমাদের জনসভার জন্য প্রত্যেকটা দৈনিক পত্রিকায় ১৯ আগস্ট বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছিল। সেখানে পোস্টার আকারেই বলা হয়েছিল, ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতেই জনসভা হবে। ন্যূনতম মানবিক গুণাবলি ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার থাকলে বিএনপি নেতারা এ নিয়ে মিথ্যাচার করতে পারতেন না।’
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার সো-কল্ড বন্দিজীবন পালন করছেন, যাপন করছেন না। সেটা সারা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার।
‘এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। সেই খুনিচক্র পরে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে। তাদের হত্যার রাজনীতি শেষ হয়নি, তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এ আলোচনায় অংশ নেন।