বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিবিআই নিয়ে দিলীপকে সতর্ক করল বিজেপি

  •    
  • ২৪ আগস্ট, ২০২২ ১৩:৫৪

মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ সময় সিবিআই নিয়ে প্রকাশ্যে মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) সমালোচনা করায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে সতর্ক করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ সময় সিবিআই নিয়ে প্রকাশ্যে মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

দিলীপ ঘোষকে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘মিডিয়া এটাকে অন্যভাবে দেখাচ্ছে। গোটা দেশে সিবিআইয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমি বিষয়টি দেখছি।’

এর আগে রোববার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হলেও প্রভাব পড়ছিল না। কেউ ধরা পড়ছিল না। কোনো ডকুমেন্ট আসছিল না। এর কারণ গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করা হচ্ছিল।

দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা জানার পর, কিছু অফিসারকে পরিবর্তন করা হয়েছে। যথারীতি যা হয় আর কি, সবাই বিক্রি হয়। কেউ লাখে, কেউ কোটিতে।

দিলীপের এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় বিতর্ক। কিন্তু তারপরও সেখানে না থেমে সোমবার দিলীপ ঘোষ আবারও সিবিআইয়ের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর ৬০ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিবিআই? সিবিআই এফআইআর-ই করতে পারেনি। সব থেকে বিশ্বস্ত এজেন্সি ইডি । তারা সেটা প্রমাণ করেছে।

সূত্র বলছে, দিলীপ ঘোষ না বুঝলেও তার এই মন্তব্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। কেননা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। যার দায়িত্বে আছেন খোদ বিজেপির সাবেক সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

দিলীপ ঘোষ আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনস্থ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দিলীপের মন্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন তলব করে দিল্লির বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

সোমবার কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে যখন সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্য এবং দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব সাংগঠনিক বৈঠকে ব্যস্ত, তখন দিলীপ ঘোষ কার্যালয়ে উপস্থিত থেকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি। কিন্তু কেন? তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।

বিতর্কিত মন্তব্য করতে অভ্যস্ত দিলীপ ঘোষকে এর আগেও সতর্ক করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরও একইভাবে তিনি নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন। এবার পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।

এ বিভাগের আরো খবর