বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপের কারণে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৯ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এখনও নিখোঁজ আছে ৪ জন।
সুন্দরবনের কাগাদোবেকি ফরেস্ট স্টেশনের আওতাভুক্ত ছোদন খালী খালের গোড়া থেকে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন, পটুয়াখালী জেলার কালাপাড়া থানার লালুয়া গ্রামের হিরু মাঝি, সালিমপুর গ্রামের জলিল হাওলাদার, নিলগঞ্জ গ্রামের ফারুক হাওলাদার, চিনগুড়িয়া গ্রামের মো. ফিরোজ, মো. করিম খান, সবুজ হাওলাদার, লালুয়া গ্রামের মো. ইউসুফ, জহিরুল মেরদা ও চারিপাড়া গ্রামের সেলিম হাওলাদার।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লালুয়া গ্রামের আব্বাস খাঁ, চান্দুপাড়ার জুয়েল খাঁ, বনাতী গ্রামের রাকিবুল ও চিংড়ীয়া গ্রামের দুলাল হাওলাদার।
সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের কাগাদোবেকি স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই জেলেরা গত ১৬ আগস্ট পটুয়াখালী জেলার মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে সাগরে যান। নিন্মচাপের প্রভাবে ১৯ আগস্ট তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়।
চার সিলিন্ডারের এমভি ওবায়দুল নামের ওই ট্রলারটির মালিক পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার ওবায়দুর গাজী।
ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে ছোদন খালী খালে নিয়মিত টহল চলছিল। এ সময় বনের পাড়ে কয়েকজনকে প্রায় অচেতন অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। কোস্ট গার্ডের একটি টহল দলও সেখানে ছিল।
‘পরে আমরা যৌথভাবে তাদের কাছে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তারা স্বাভাবিক হলে কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
উদ্ধার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা ১৩ জন সাগরে মাছ ধরতে যায়। ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় দুইজন সেখান থেকে বের হতে পারেনি। বাকি ১১ জন সাগরে ভাসছিল।
‘এর মধ্যে দুজন সাগরের ঢেউয়ে নিখোঁজ হন। অন্যরা ভাসতে ভাসতে সুন্দরবনে আসেন।’